একজন মানুষের জীবনে তার সবচেয়ে বড় সফলতা কী হতে পারে, জানেন কি? ধন সম্পদের মালিক হওয়া? ফেমাস হওয়া? বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ছড়িয়ে পড়া? কঠিন আশা এবনহ স্বপ্নগুলোও পূরণ হওয়া? সত্যি বলতে এগুলোর কোনোটির গুরুত্বই কম নয়। কিন্তু আমরা মানুষ, তাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলাই হলো একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠা।
নিজেকে এমন একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা, যার নিজের ব্যাপারে মনে কোনো খেদ থাকবে না, আবার অন্যরাও নির্দ্বিধায় বলে দেবে, হ্যাঁ, তুমি একজন ভালো মানুষ তাই আমরা তোমাকে এতোটা ভালোবাসি। এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হওয়া যায়। কিংবা সত্যিকারের ভালো মানুষ হওয়া কি এতোটাই সহজ কোনো কাজ? আসুন, একজন ভালো মানুষ জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি’র কিছু বিশেষ কারণ বলি যার জন্য সবাই তাকে এতো ভালোবাসে।
জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বেশ সহজেই
রাগ একটি খুবই বাজে জিনিস, যা ধীরে ধীরে সবাইকে ধ্বংস করে দেয়। যখন আমাদের সাথে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে, যা আমাদের কল্পনাতেও ছিল না অথবা যখন আমরা কারো কাছ থেকে খুব বাজে ব্যবহারের সম্মুখীন হই, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা অনেক রেগে যাই, ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ি। রাগের মাথায় এমন কিছু একটা করে বসি, যাতে মানুষ হিসেবে নিজেরাই অনেক ছোট হয়ে যাই, এবং অনেক অনর্থক বিপদও ডেকে আনি। এটি জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী খুব ভালো করেই জানেন এবং নিজের রাগকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলে, যার জন্য সবাই তাকে ভালোবাসে।
জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি সবার আগে নিজেকে ভালোবাসেন, তাই তিনি অন্যকে ভালোবাসা দিতে পারেন
অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছুই নেই। খুবই সহজ একটি টাস্ক এটি। ভাবছেন, ভালো মানুষেরা নিজেকে নিয়ে কখনোই ভাবে না। তারা নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে অন্যের জন্য, যা সত্য। কিন্তু মূল বিষয়টা হলো, সবসময় অন্যের উপকার করতে হবে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে নিজেকে ভালোবাসবেন। বরং নিজেকে ভালোবাসতে পারাই হলো ভালো মানুষ হয়ে ওঠার প্রথম এবং প্রধান গুনাবলী।
জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি নিজের ভুল দুর্বলতাগুলোকে স্বীকার করে আবারো সেই কাজে লেগে পড়েন সফলতা অর্জন করতে
যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সবার আগে সমস্যাটি শনাক্ত করতে হয় এবং সেটি যে আসলেই একটি সমস্যা, এই কথাটি স্বীকার করে নিতে হয়, মেনে নিতে হয়। কারণ সবাই যতই কোনো সমস্যার কারণে কষ্ট পায় , ওই সমস্যার কারণ টা যদি খুঁজে না পায়, কিংবা খুঁজে পাওয়ার পরও মন থেকে তা মানতে চায় না, তাহলে তো সমাধানের পথ বের করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী নিজের ভুল স্বীকার করে সঠিক টা বেছে নেন আর অগ্রসর হন, যার কারনে সবাই তাকে এতোটা ভালোবাসে এবং তার থেকে অনেক ভালো কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে।
জনাব আনিসুজ্জামান চৌধুরী’র উপরোক্ত গুন গুলো ফলো করুন, আপনিও হয়ে উঠতে পারবেন তার মতো একজন ভালো মানুষ এবং আপনিও অর্জন করতে পারবেন সবার ভালোবাসা, মায়া ও মমতা। অনেকেরই মনে করতে পারেন যে আজকের এইরকম যুগে পরিপূর্ণ ভালো মানুষ হওয়া সম্ভব নয়, ভালো মানুষ হয়ে এই সমাজ সংসারে টিকে থাকা যায় না। কিন্তু আপনি ভুল, ভালো মানুষ হওয়া কঠিন কিছু নয়। ইচ্ছে হলেই ভালো মানুষ হয়ে ওঠা যায়।